আজ সকালের এক অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা (২৯ জুন ২০২৫)
নারীটি আগারগাঁও স্টেশনে নেমে গেলে, আমার সহকর্মীও গন্তব্য কাওরান বাজার না হয়ে সন্দেহবশত সেখানেই নেমে পড়েন। তাঁর নিজেরও দুটি মেয়ে রয়েছে—তাই বাবার হৃদয়ে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করে।
স্টেশন থেকে বের হবার সময় তিনি সরাসরি নারীটিকে জিজ্ঞেস করেন,
"এই শিশু আপনার কে হয়?"
নারীটি বলেন, "আমার মেয়ে।"
কিন্তু শিশুটি তখনো স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না—শুধু আধো আধো ভাষা।
আমার সহকর্মী শিশুটিকে জিজ্ঞেস করেন,
"তোমার মা কোথায়?"
শিশুটি সরলভাবে মাথা নাড়িয়ে বলে, "মা নাই।"
তখনই নারীটি দ্রুত বলে, "এই যে মা!"
কিছুক্ষণ পর সহকর্মী আবার জিজ্ঞেস করেন,
"তোমার মা কে?"
এবার শিশুটি নারীর দিকেই ইঙ্গিত করে।
এত কিছুর পরেও সন্দেহ কাটেনি। তিনি আবার নারীটিকে কিছু প্রশ্ন করেন—
— "মিরপুর-১১"
— "ছোট একটা চায়ের দোকান চালান"
— "মুখস্থ নেই, আমারও মোবাইল নেই"a
— "বাসে করে মহাখালিতে যাবো, আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি"
পরে সকাল ৯:১৭ মিনিটে তিনি নারী ও শিশুটিকে একটি মহাখালি-গামী বাসে তুলে দেন। তবে শিশুটির পোশাক, চেহারা, স্বভাব—কোনো কিছুই নারীর সঙ্গে মিল ছিল না।
শুধু একটি ভুল সিদ্ধান্ত, একটি ভুল হাতে তুলে দেওয়া—একটি শিশুর পুরো ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আজকাল আমরা প্রায়ই দেখি, বাসায় কাজ করা নারীরা কখনও কখনও শিশুদের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে থাকেন—ভিক্ষাবৃত্তি, পাচার কিংবা আরও ভয়ংকর কিছু।
এই শিশুটি যদি আপনার পরিচিত হয়, কেউ যদি শিশুটিকে চিনে থাকেন, অনুগ্রহ করে তার পরিবার বা আত্মীয়দের জানিয়ে দিন।
সালেহ আহম্মেদ হেলালী
মোবাইল: ০১৬৭৩৪৫৯০৫৪
---
হয়তো আপনার একটি শেয়ারে বাঁচতে পারে একটি নিষ্পাপ প্রাণ, একটি শিশুর ভবিষ্যৎ।
একটা সমাজ তখনই নিরাপদ হয়, যখন আমরা সবাই মিলে অপরাধের বিরুদ্ধে চোখ খুলি।
আজ আপনি শেয়ার করলে, কাল কেউ আপনার শিশুকে রক্ষা করবে।
সংগৃহীত ও পরিমার্জিত পোস্ট।

0 Comments